• ঢাকা, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
  •   | হট লাইনঃ ০১৮৮৩১০৭৯৫৪

বহিস্কৃত নেতা নিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করায় সালাউদ্দিন সালুর বহিষ্কার চায় নেতাকর্মীরা।

বহিস্কৃত নেতা নিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করায় সালাউদ্দিন সালুর বহিষ্কার চায় নেতাকর্মীরা।

রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফুল আলম প্রধান এবং মনোনয়ন–বঞ্চিত কয়েকজন নেতাকে নিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, এমন অভিযোগ উঠেছে দলের নেতাকর্মীদের একটি বৃহৎ অংশের কাছ থেকে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে মনোনয়ন–বঞ্চিত পাঁচ নেতা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বহিষ্কৃত সোনারগাঁ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে সালাউদ্দিন সালুর নেতৃত্বে কাঁচপুরে একটি বিদ্রোহী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ২১ নভেম্বর তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল পরিচালনার ঘটনায় আশরাফ প্রধানকে কেন্দ্রীয়ভাবে বহিষ্কার করা হয়। অথচ সেই বহিষ্কৃত নেতাকে পুনরায় স্টেজে তুলে সমাবেশ করানোকে বিএনপির শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে রেজাউল করিম, ওলিউর রহমান আপেল, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, আল মুজাহিদ মল্লিকসহ কয়েকজন মনোনয়ন–বঞ্চিত নেতা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সালাউদ্দিন সালু ও অন্যান্যরা দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ গণসমাবেশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অমান্য করার মাধ্যমে সালাউদ্দিন সালু প্রকাশ্যেই দলবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে বিদ্রোহী সমাবেশ করায় সালুর বিরুদ্ধে জরুরি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্যেও এ ঘটনায় অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। তারা মনে করছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে এমন বিদ্রোহী কর্মকাণ্ড বিএনপির প্রার্থী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে দলবিরোধী কর্মকাণ্ড করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিএনপির ঐক্য বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঘটনার পর সোনারগাঁ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—সালাউদ্দিন সালুর এই বিদ্রোহী সমাবেশ কি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে? দলীয় মহলে এখন সেই প্রশ্নই সবচেয়ে আলোচিত।