• ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  •   | হট লাইনঃ ০১৮৮৩১০৭৯৫৪

সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে মেসি,রোনালদো,সিনবাদ ও আলাল সহ বাহারি নামের গরু।

সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে মেসি,রোনালদো,সিনবাদ ও আলাল সহ বাহারি নামের গরু।

রবিবার, ২ জুন ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

ফয়সাল আহমেদ,  সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কোরবানিতে নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। আর এই নজর কাড়তে খামারিরা গরুর নাম দেন রাজকীয় এবং ঐতিহ্যবাহী বা প্রভাবশালী পরিবারের নামকরণে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনারগাঁও ডেইরি ফার্মে মেসি,রোনালদো, সিনবাদ ও আলাল সহ বিভিন্ন নামের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে  । এরমধ্যে আলাল এর ওজন ১ হাজার কেজি, সিনবাদের ওজন ৮০০ কেজি,মেসির ওজন ৬০০ কেজি ও রোনালদোর ওজন ৫০০ কেজি  । হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু আলাল ও সিনবাদ এর দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। আর মেসির দাম ৮ লাখ ও  রোনালদোর দাম ৬ লাখ টাকা। সোনারগাঁও ডেইরি ফার্মের ভেতর  লালন-পালন করা গরু মেসি,রোনালদো, সিনবাদ ও আলাল ইতিমধ্যে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে কোরবানির উপযোগী করে উৎপাদন করা গরু আলাল সোনারগাঁয়ে খামারিদের উৎপাদন করা গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান খামারের মালিক নজরুল ইসলাম । তিনি আরও জানান, সোনারগাঁ ডেইরি খামারের রয়েছে ফ্রিজিয়ান,শাহীওয়াল,গয়াল ক্রস, ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে।  তিনি বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু। খৈল, ভুষি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে। এখানে থাকা ফ্রিজিয়ান, ক্রস, শাহীওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরুগুলো অর্ধেক আমার খামারে গাভীর বাছুর ও বাকি গুলো বিভিন্ন খামার ও গরুর হাট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। জানা গেছে, নজরুল ইসলাম তার নিজের দোকান সোনারগাঁও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে খামারটির যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩০ টি ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সবুজ ঘাস ও খৈল-ভুষি ফার্মের গাভী ও ষাঁড়ের প্রধান খাদ্য। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খামার পরিচালনা করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক খাবার ছাড়া কোনো কৃত্রিম খাবার খামারে ব্যবহার করা হয় না বলে জানিয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ।