ছিলেন জাতীয় পার্টি এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজী করছে ওয়াজকুরুনী।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন এর চরকামালদী গ্রামের জাহান আলীর ছেলে ওয়াজকুরুনী। গত জুলাই আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর স্বৈরশাসক সরকার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিবর্তন করে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য এলাকার লোকাল কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় হাতে পায়ে ধরে নতুন ভাবে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ সে বিগত সময় কিছু অবৈধ সুবিধাভোগ করার জন্য রাজনৈতিক দল রদবদল করে আসছেন৷ এই রাজনৈতিক দল রদবদলের মাধ্যমেই এলাকায় তার যতসব অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলছে৷ ৫ই আগষ্টের পর বিএনপিতে এসে দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজী করেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ বিএনপির নাম ব্যবহার করে দলের ভাব মুর্তি নষ্ট করছেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ গত জুলাই-আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ওয়াজকুরুনী৷ জুলাই আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর চরকামালদী গ্রামের পাশ্ববর্তী এলাকায় চৌড়াপারা পাঁচআনি পাড়াঁ গ্রামের রহিম মিয়া নামের এক সাধারণ ব্যাক্তির ঘর বাড়ী লুট পাট করেন ৪ ভড়ি স্বর্ন অলংকার, সহ ৪টি গরু, নগর অর্থ ২ লক্ষ টাকা, লুটপাট করে নিয়ে আসেন জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ ওয়াজকুরুনী ও তার সহযোগীরা৷ গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে চরকামালদী গ্রামের ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ি কে প্রকাশ্যে আশ্রয়দাতা জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিচ্ছেন প্রকাশ্যে ও দিবালোকে আশ্রয়দাতা জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ ৫ই আগষ্টের পর চরকামালদী গ্রামে একটি ব্যাটারি ফেক্টুরি থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী ও তাঁর সহযোগীরা৷ চরকামালদী গ্রামের সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনীর দ্বারা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, জোর, জুলুম, চাঁদাবাজি, শিকার হচ্ছেন৷ বিগত সময় ধরেই চলছে চরকামালদী গ্রামে সুজিত কুমার সাহা এক প্রোপার্টি মালিকে জমি ব্যবসায়ীর ৬০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে জমির পুকুরে মৎস্য খামার করে খামারের নাম ব্যবহার করে জুয়ার আসর বসানো হয়৷ জুয়ার আসরে প্রতিদিন ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকার খেলা হয়ে থাকে৷ মৎস্য খামারের ভিতরে মাদক সেবন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, মাদক দ্রব্য ও পতিতালয়ের নারী নিয়ে এসে রাত্রী যাপন করেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ মৎস্য খামারে পতিতালয় নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করা হয়৷ চরকামালদী গ্রামের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ মৎস্য খামারে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের মানুষ আসেন৷ এলাকার সকল অপকর্মের সাথে জড়িত জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ রাতে মানুষের বাড়িতে গিয়ে দড়জায় ধাক্কা ধাক্কি করেন জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ গ্রামের মহিলাদেরকে কু-প্রস্তাব দেয় জাতীয় পার্টি নেতা ওয়াজকুরুনী৷ এ অভিযোগ ও তুলেছেন চরকামালদী গ্রামের সাধারণ পাড়া মহল্লার মানুষ৷